উদ্ধার অভিযান শেষ: মাইকিং চলছে

নগরে পাহাড়  ও দেয়াল ধসে একই পরিবারের তিন জনসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে আকবরশাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি এবং পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -

টানা বৃষ্টিতে ফিরোজ শাহ কলোনিতে পাহাড়ধস হয়। পাহাড়ের মাটি দুটি কাঁচা ঘরের ওপর পড়লে তিনজন মাটিচাপা পড়েন।

- Advertisement -google news follower

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করেন স্থানীয়রাও। এ সময় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে উদ্ধার অভিযান।

দেওয়ানহাট ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উপ-সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূইয়া জয়নিউজকে বলেন, রাত ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকে। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে একই পরিবারের তিনজনের মরদহে উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন স্থানীয় নূর মোহাম্মদের স্ত্রী নূরজাহান (৪৫), তাদের আড়াই বছরের মেয়ে ফজরুন্নেছা এবং নূরজাহানের মা বিবি জোহরা (৬৫)।

- Advertisement -islamibank
উদ্ধার অভিযান শেষ: মাইকিং চলছে
একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ ‍উদ্ধারের পর শোকাহত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ছবি: বাচ্চু বড়ুয়া

সকালে নূর মোহাম্মদ উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বাড়ি ফটিকছড়ির শান্তিরহাটে। আর বিবি জোহরার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে। তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

নূর মোহাম্মদ বলেন, টানা বৃষ্টিতে বিপদ বুঝে রাতেই ঘরের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছিলাম। স্ত্রী-শাশুড়িকে শেষে সরিয়ে নিবো ভেবেছিলাম। কিন্তু এর আগেই পাহাড় থেকে মাটির স্তূপ নেমে আসে।

এদিকে পাঁচলাইশের রহমান নগর এলাকায় দেয়াল ধসে নুরুন্নবী নান্টু (৪৫) নামে এক রিকশাচালক নিহত হন। তিনি ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, প্রচণ্ড বর্ষণে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে বিশাল একটি গাছের শিকড় ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা কয়েকটি কাঁচা-পাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেয়াল ধসে গুরুতর আহত হন নান্টু। উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই পরিবারের নিহত তিনজনের মরদেহ ঘটনাস্থলেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপরদিকে নিহত নান্টুর মরদহে চমেক হাসপাতাল থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জয়নিউজকে বলেন, নিহত দুই পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা সব এলাকায় মাইকিং চলছে, যাতে তারা নিরাপদ স্থানে সরে যান।

জয়নিউজ/আরসি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM