লড়েও হারলো বাংলাদেশ

আবারো অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। এশিয়া কাপে এর আগে দুবার ফাইনালে উঠেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিলো বাংলাদেশের। পাকিস্তান ও ভারতের সাথে ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তৃতীয়বার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় লাল-সবুজের দল। এবারও শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনার ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন মাশরাফি-মুশফিকরা।

- Advertisement -

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ২২২ রানের জবাবে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে, তারা হারিয়েছে সাত উইকেট এবং অপেক্ষা করেছে ৫০ ওভারের শেষ বলটি পর্যন্ত।

- Advertisement -google news follower

লিটন দাসের অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ গড়েছিল ২২২ রান। তিনি ১১৭ বলে ১২১ রান করে আম্পায়ারের এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন। লিটনের পা ছিলো পপিং ক্রিজের লাইনে। ক্রিকেটের ব্যাকরণে বেনিফিট অব দ্য ডাউট ব্যাটসম্যানের পক্ষে গেলেও থার্ড আস্পায়ার রড ট্রাকার তা দেননি। তার এই ইনিংসে ১২টি চার ও দুটি ছক্কা ছিল।

মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে মিলে ১২০ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়েন লিটন। দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখালেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।  জাতীয় দলের হয়ে এবারই প্রথম উদ্বোধনীতে নেমে ৩৬ রানের একটি ভালো ইনিংস খেলেন মিরাজ।

- Advertisement -islamibank

এরপরই একের পর এক অঘটন ঘটতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংসে। দ্রুত সাজঘরে ফিরেন ইমরুল কায়েস (২), মুশফিকুর রহিম (৫) ও মোহাম্মদ মিঠুন (২)।

৬ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে এলেন সৌম্য (১০)। তাকে সঙ্গী করে চাপ সামলে ইনিংস মেরামতের জন্য বেশ হিসেবি ব্যাটিং করেছেন লিটন।

সপ্তম উইকেটে এসে মাশরাফিও উইকেটে টিকতে পারেননি। ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৭ রান নিয়ে কুলদীপের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন। সমান সংখ্যক রানে মানিশ পান্ডের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন নাজমুল ইসলাম অপু।

বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই ভারতের ইনিংসে ধাক্কা লাগে। শেখর ধাওয়ান (১৫) ও আম্বাতি রাইডু (২) দ্রুত ফিরে যান সাজঘরে। পরে রোহিত শর্মা ধাক্কা সামলে টিকে থাকেন, ভারতীয় অধিনায়ক ৫৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হন পেসার রুবেল হোসেনের বলে।

এর পর মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৬, দিনেশ কার্তিক ৩৭, কেদার যাদব ২৩, রবিন্দ্র জাদেজা ২৩ ও ভুবনেশ্বর কুমার ২১ রান করেন।

দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। আর একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসরাম অপু ও মাহমুদউল্লাহ।

২০১২ ও ২০১৬ সালের পর আবারও খুব কাছে এসেও এশিয়া কাপ শিরোপা হাত ছাড়া হলো টাইগারদের।

জয়নিউজ

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM