চট্টগ্রামে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ’র সব কার্যক্রমে গতি এসেছে। বিভিন্ন সেবা করা হয়েছে ডিজিটিলাইজড। ফলে সেবগ্রহিতা কোন ধরণের হয়রানি ছাড়াই পাচ্ছেন কাংখিত সেবা।
অন্যদিকে সরকারর রাজস্ব বাড়াতে সারাবছরই তৎপর ছিলেন বিআরটিএর’র কর্মকর্তারা। দালালদের উৎপাত ছাড়াই খুব সহজেই সব সেবা খুশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। চট্টগ্রামের বিআরটিএ অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও মন্ত্রী ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।
ফলে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ, মোটর যান মালিক, বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পেশাজীবী মানুষসহ বিআরটিএ’তে অংশীজনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে বিআরটিএ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে থাকে।
বিশেষ করে করোনা কালীন সময়ে বিএরটিএ’র কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মত। বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্যাক্স শনাক্তকরণ নম্বর সনদ আপডেটসহ অন্যান্য কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন।
করোনায় বিআরটিএ’ র কাযক্রম সচল রাখতে গিয়ে সেলিম রেজা নামে এক কর্মকর্তার প্রাণ দিতে হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা এসেছে কয়েকগুণ।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী গণপরিবহণের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান চালিয়েছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মুক্তা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এদিকে এর আগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর সরকারি নির্ধারিত তালিকা না মেনে বেপরোয়া ভাড়া আদায় করার অভিযোগে টানা ১০ দিন অভিযান পরিচালনা করে বিআরটিএর দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত ৭ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ১৩২ টি মামলায় ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত মাসের শুনরি দিকে অর্থাৎ ৭ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্নার নেতৃত্বাধীন আদালত-১২ ও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার নেতৃত্বাধীন ১৩ নম্বর আদালত।
নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ মোটরযান আইন ভঙ্গের অভিযোগে ১২ নম্বর আদালত ৮৩ মামলায় ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা ও ১৩ নম্বর আদালত ৪৯টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এর আগে গত বছর সরকারি নিয়ম-নির্দেশনা মেনেই চার হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করে চট্টগ্রাম বিআরটিএ। পরে স্ক্র্যাপকৃত এসব অটোরিকশা মালিকদের অনুকূলে নতুন কেনা গাড়ির নিবন্ধন দেয় চট্টগ্রাম বিআরটিএ। এসব গাড়ির নিবন্ধন নিতে পেতে কোন ধরণের ঝক্কি ঝামেলা।
সূত্র জানায়, ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। এই সব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর।
পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। যে কারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
চগ্রাামে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ মডেলে তৈরিকৃত এমন সাড়ে পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা ও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়।
করোনার কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণ প্রায় ১০ মাস বন্ধ ছিল। গত ১৬ নভেম্বর থেকে পুনরায় স্ক্র্যাপকরণের কাজ শুরু করেছিল চট্টগ্রাম বিআরটিএ।
সরেজমিনে বিআরটিএ কার্যালয়ে ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রামের সব অফিসের কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন কেউ এসেছেন গাড়ির নম্বর প্লেট নিতে, কেউ এসেছেন ট্যাক্স টোকেন নিতে। আবার কেউ এসেছেন মোটর সাইকেলের নিবন্ধন ফি জমা দিতে। আশপাশে দালাল চক্রের দেখা যায়নি।
ট্যাক্স টোকেন করতে আসা কামরুল ইসলাম জানান, কোন ধরণের হয়রানি ছাড়াই সেবা পেয়েছি। কোন দালালের সহযোগিতা ছাড়াই কর্মকর্তারা কাজ করে দিয়েছেন। সব সেবা এখন ডিজিটালাইজড হয়ে ভাল হয়েছে।
জেএন/এফও/এমআর