ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা চাদরে কক্সবাজার

কক্সবাজারে শুরু হওয়া দুই দিনের ইজতেমার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিন স্তরে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা পুলিশের ৩৬২ জন সদস্য। সেখানে সাদা পোশাকধারী রয়েছেন ৫২ জন।

- Advertisement -

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, সফলভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

- Advertisement -google news follower

তিনি জানান, ‘খিত্তাওয়ারী’ পুলিশের অবস্থানের পাশাপাশি চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় স্থাপন করা হয়েছে সাব কন্ট্রোল। সেখানে ‘স্ট্যান্ডবাই’আলাদা ফোর্স অবস্থান করছে। হলিডে মোড় থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত গাড়ির মোবাইল টিম রয়েছে। আশপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে ফুট পেট্রোল।

কক্সবাজারে দেওবন্দপন্থী তাবলীগ জামাতের দুইদিনব্যাপী ইজতেমা মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। সকালে বয়ান করেন মুফতি মাওলানা মোরশেদুল আলম চৌধুরী।

- Advertisement -islamibank

শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট সংলগ্ন ঝাউবাগানের বালিয়াড়িতে বসা ইজতেমা শেষ হবে বুধবার।

প্রথম দিন আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ও মৃদু শীত অনুভুত হলেও প্রভাব ফেলেনি তাবলীগের আয়োজনে। প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। মূল প্যান্ডেলে ঠাঁই না পেয়ে বাইরেও অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা।

সোমবার দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ইজতেমা প্রাঙ্গনে জমায়েত হন।

মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমায় লোকজন আসতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে এসেছে বেশ কয়েকটি জামাত। দেশের বাইরের বেশ কয়েকজন তাবলীগের সাথীকে ইজতেমা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে। উপজেলাভিত্তিক তাঁবুতে মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন।

সোমবার মাগরিবের নামাজের পর উপস্থিত সবাইকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন তাবলীগের মুরব্বিরা।

কক্সবাজার তাবলীগ জামাতের মুখপাত্র মাওলানা আতাউল করিম জানান, ইজতেমার মূল তাঁবুর বাইরে ৮ উপজেলার জন্য ১০টি খিত্তা (অবস্থানের তাঁবু), মুরব্বি, ওলামা মাশায়েখ ও ভিআইপিদের জন্য ১টি করে খিত্তা তৈরি করা হয়েছে।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে আড়াইশ টয়লেট, ৫০টি ডাস্টবিন এবং প্রায় ১০০ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি পাহারাঘর। নিয়োজিত করা হয়েছে প্রায় ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক।

দুইদিনের জেলা পর্যায়ের এই ইজতেমায় এসেছেন কাকরাইলের মুকিম মাওলানা ওমর ফারুক, প্রকৌশলী আবদুল মুকিবের ছেলে মাওলানা আবদুল বার প্রমুখ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্তরের আলেমরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

 

জয়নিউজ/জুলফিকার

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM