নরসিংদীর মাধবদীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীরা।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে মাধবদী বাজার মসজিদে সামনে নৃশংসভাবে তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ সরকার দলের।
দলীয় সুত্রে বলছে, নিহতরা হলেন সদর উপজেলার চরদিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহীন (৩৭), সদর থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান ভূইয়া (৪৮), সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোটভাই ছোট গদাইচর এলাকার আবু সায়ীদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু (৪৮), মাধবদীর আলগী এলাকার আওয়ামী লীগের সমর্থক শাহাজাহান মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া (৪৫), মাধবদী শ্রমিকলীগ নেতা আনিসুর রহমান সোহেল (৪৩)। অজ্ঞাত একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা ১০টার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় দুই হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী প্রথমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন।
পরবর্তীতে বেলা ১১টা থেকে মাধবদী পৌরসভার মোড় ও মাধবদী সতীপ্রসন্ন ইনস্টিটিউট মাঠে অবস্থান নেন।
এরইমধ্যে ছাত্রজনতার ব্যানারে আন্দোলনকারীরা মাধবদী নতুন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে বাজারের দিকে আসতে থাকে।
এসময় আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একযোগে ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বাজারের দিকে ছুটে যায়।
একপর্যায়ে বাজার মসজিদ এলাকায় একটি কক্ষে আশ্রয় নিতে গিয়ে আটকে যায় আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সেখানেই আন্দোলনকারীরা তাদের পিটিয়ে হত্যা করে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিহতের লাশ বাজার মসজিদের সামনে রাখা হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমরা শুনেছি মাধবদী বাজার মসজিদের সামনে ছয়জনের মরদেহ রয়েছে।
আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সুরতহাল করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
জেএন/পিআর