প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসশীল বক্তব্য দিয়েছে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সবে কয়েকদিন হলো নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন, এখন এত দাবি দাওয়া কেন?
এতদিন আপনার দাবি দাওয়া কোথায় ছিল? এভাবে যদি ব্যতিব্যস্ত করে তোলা হয় তাহলে উনারাতো রাষ্ট্র মেরামতের কাজটা করতে পারবে না।
সাড়ে ১৫ বছর যখন ধৈর্য ধরতে পেরেছেন, আর কয়েকটা মাস ধৈর্য ধরেন। উনারা একটু গুছিয়ে আনুক, তখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আপনাদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন। ’
সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এমন একটা গণবিক্ষোভকে ভণ্ডুল করার জন্য যেই আসুক তাদের বাধা দিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে একটা বাহিনী প্রতিবাদ করতে এসে সমস্ত আইনকানুন ভঙ্গ করে জোর করে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা গালি-গালাজ উচ্ছৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে। তাদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল।
এ কারণে যারা প্রথম সারিতে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল থেকে রক্ষা করেছে তারা সচিবালয়ে গিয়েছিল বুঝানোর জন্য। তখন তারা সমন্বয়কসহ ছাত্রদের মারধর করে।
তিনি বলেন, ‘আমি আসা করি সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। কারো উসকানিতে কোনো ষড়যন্ত্রতে পা দেবেন না। যারা দেশকে ভালোবাসবে, নিজের বিবেক অনুযায়ী চলবে, দেশকে পুর্নগঠনে এগিয়ে আসবে। সবার কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আসা করি।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে দায়িত্বশীল হয়েছে বলে মনে করে তিনি বলেন, তার বক্তব্যে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিধ্বনি হয়েছে বলে মনে করছি।
আমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ নাও হতে পারে, দেখতে হবে সামগ্রিকভাবে দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে কিনা! আমরা মনে করি উনারা ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
জেএন/পিআর