সাবিহাকে সারপ্রাইজ, সাক্ষী ডিসি হিল

বাসা থেকে অফিসের দূরত্বটা খুব বেশি নয়। হেঁটেই প্রতিদিন অফিসে আসি। আজও (৮ জানুয়ারি) পৌষের পড়ন্ত বিকেলে ডিসি হিল দিয়ে অফিসে আসছিলাম। হঠাৎ দেখা জনপ্রিয় লেখক ও দৈনিক আজাদীর সিনিয়র সাংবাদিক জাহেদ মোতালেবের সঙ্গে।

- Advertisement -

বেশ কিছুদিন পর দেখা, সবুজঘেরা ডিসি হিলে আলাপ চলছিল। সূর্যটা ইতিমধ্যে রক্তিম রঙ ধারণ করেছে। ডিসি হিলের পরিবেশটাও শান্ত হয়ে গেছে। সবার মাঝে ঘরে ফেরার তাড়া।

- Advertisement -google news follower

শান্ত পরিবেশে হঠাৎ ডিসি হিলের বাংলাদেশ নার্সারির বিপরীতে দেখা গেল কোলাহল। ব্যাপারটি আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও এড়ায়নি জাহেদ ভাইয়ের চোখ। বললেন- দেখেন ওরা কত মজা করছে। প্রকৃতির মাঝেই পালন করছে জন্মদিন।

জাহেদ ভাইয়ের কথা শুনে ওদিকে তাকাতেই একটু অবাক ঠেকল। বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে আরেকটু এগিয়ে গেলাম। দেখলাম কয়েকজন তরুণ-তরুণী ভীষণ মজা করছে। আর তাদের আনন্দের উপলক্ষ এক বন্ধুর ‘জন্মদিন’।

- Advertisement -islamibank

বাংলাদেশ নার্সারির বিপরীতে দর্শনার্থীদের বসার জন্য পাথরের স্থানটি তাঁরা সাজিয়েছেন বেলুন দিয়ে। আর মাঝে বাহারি রঙের কাগজে লেখা ‘HAPPY BIRTHDAY SABIHA’।

সাবিহাকে সারপ্রাইজ, সাক্ষী ডিসি হিল | IMG 20190108 173146তরুণ-তরুণীদের আনন্দে একটু বিঘ্ন ঘটালাম। জিজ্ঞেস করলাম- ডিসি হিলে জন্মদিন উদযাপনের পরিকল্পনাটা কার। সাবিহার এক বান্ধবী বললেন আমার।

প্রজ্ঞা লাবণী বড়ুয়া নামের ওই তরুণী ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। তিনি বলেন, সাবিহা আমার প্রিয় বান্ধবী। তাকে চমক দিতেই এখানে জন্মদিন পালনের পরিকল্পনা করি।

লাবণীর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছিলেন দুই বন্ধু- ইব্রাহিম খলিল ও মো. শরীফ। তাঁরা দু’জনই ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অবশ্য বেলুন দিয়ে সাজানোয় সহায়তা করে লাবণীর ছোট বোন অগ্নি বড়ুয়াও।

বার্থ ডে গার্ল সাবিহার উচ্ছ্বাসের অন্ত ছিল না। দিদার মার্কেটের এ বাসিন্দা লেখাপড়া করেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। বন্ধুদের এমন আয়োজনে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করতেই বললেন- ‘অনেক বেশি ভালো লাগছে। বন্ধুদের এ আয়োজন আমাকে চমকে দিয়েছে।’

সাবিহার জন্মদিন উদযাপন করতে একটু আগেভাগেই ডিসি হিলে চলে আসে বন্ধুরা। বেলুন আর নানা রঙের কাগজে পাথরের উপর বসার স্থানটি সুন্দর করে সাজায় তাঁরা। কিনে আনে ছোট্ট একটি কেকও। এরপর ডিসি হিলের সুশীতল ছায়ায় চলে জন্মদিন উদযাপন।

বাজেট স্বল্পতায় কেক কিনতে হয়েছে একশ’টাকায়- এ নিয়ে একটু আক্ষেপ ছিল লাবণীর। কিন্তু পড়ন্ত বিকেলে সব আক্ষেপ দূর হয়ে গেছে নির্মল আনন্দে। কারণ ছোট্ট এ কেকেই যে বিশাল আনন্দ খুঁজে পেয়েছে সাবিহা!

বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। বদলে ফেলার এ প্রতিযোগিতায় অগ্রে তরুণরাই। আধুনিকতার তকমা লাগানো তরুণরা যখন জন্মদিন পালন করতে ছুটে যান নামিদামি রেস্টুরেন্টে সেখানে এ আয়োজন ব্যতিক্রমীই বটে।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, জয়নিউজ

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM