জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মো. আল-রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মুশতাক সৈকত। তাঁদের মধ্যে সঞ্জয় ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের ও বাকিরা ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।
ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ছাত্রলীগের ওই পাঁচকর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের কর্মীরা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া ছিনতাই ও
মারধরের বিষয়টি তাদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রক্টর জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা অধিকতর তদন্তের জন্য ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আলমগীর হোসেনের জামাতা মোহাম্মদ মনির সরদারকে বিশমাইল এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে মারধর ও মুক্তিপণ দাবি করেন বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী।
এ সময় তাকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করে এক লাখ টাকা দাবি করে ছিনতাইকারীরা। মুক্তিপণ না দিলে তাকে মাদক চোরাকারবারি হিসেবে ধরিয়ে দেবে বলেও ভয় দেখায় তারা।
খবর পেয়ে আলমগীর হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক কর্মচারী ঘটনাস্থলে গেলে তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় তুলে দেন। মনির হোসেন ঘটনার বিচার চেয়ে ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
জয়নিউজ/অভিজিত/বিশু
