পথেই ডিউটি, পথেই ইফতার

ইফতারের আগমুহূর্তে নগরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে অলিতে-গলিতে। এই যানজট ঠেলেই পৌঁছাতে হবে শান্তির নীড়ে। কারণ পরিবারের সবাই বসে আছে ইফতার নিয়ে। নগরবাসীকে নিরাপদে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। সারাদিন রোজা রেখে, রোদে পুড়ে সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক সদস্যরা।

- Advertisement -

নিজেরা কোথায় ইফতার করবেন সে চিন্তা করার সময়ও নেই তাদের। হঠাৎ মাগরিবের আজানের শব্দে টনক নড়ে। ইফতারের প্যাকেট নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েই ইফতার সারেন তারা। ইফতারের আগমুহূর্তে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ চিত্র নিত্যদিনের।

- Advertisement -google news follower

ইফতারের আগে টাইগারপাস, ইস্পাহানী মোড় ও দেওয়ানহাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের ভিড়। এরমধ্যে ছোট যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। চালক-যাত্রী সবার মধ্যে বাসায় ফেরার তাড়া। আর যানবাহনের এ চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।

পথেই ডিউটি, পথেই ইফতার

- Advertisement -islamibank

টাইগারপাস মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট হ্যাপি বেগম জয়নিউজকে বলেন, ইফতারের আগমুহূর্তে নগরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে তীব্র যানজট থাকে। ট্রাফিক পুলিশ এ সময় ব্যস্ত সময় কাটান। ফলে অনেক সময় ইফতারের সময়ের কথাও ভুলে যায়। মাঝেমধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়েই  ইফতার করতে হয় আমাদের। আসলে রোজাদার মানুষকে সঠিক সময়ে ঘরে পৌঁছে দিতে পারলেই আমাদের আনন্দ।

হ্যাপি জানান, প্রতিদিন টাইগারপাস মোড়ে ২ জন সার্জেন্ট, ১ জন এসি ও ১ জন টিআই উপস্থিত থাকেন। এছাড়া থাকেন ৬ জন কনস্টেবল। তারা পালা করে প্রতিদিন টাইগারপাস মোড়ে কাজ করছেন। রোজা শুরুর পর থেকে এই সড়কে বিকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত যানবাহনের চাপ খুব বেড়ে যায়।

টাইগারপাস মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে গিয়ে দেখা যায়, ইফতারের কিছু সময় আগে ইফতার প্রস্তুত করায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দুই  কনস্টেবল। তাদের সহায়তা করছেন কনস্টেবল রাবেয়া। অন্যদিকে সড়কে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন সার্জেন্ট হ্যাপি ও মেজবাহ। তখনই মাগরিবের আজানের ধ্বনি ভেসে আসে। পুলিশ বক্সের বাইরে বসেই ইফতার সারেন সবাই।

গরীবউল্লাহ শাহ মোড়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. শাহীন জানান, বিকালে বাসা থেকে ফোন করেছিল একসঙ্গে ইফতার করার জন্য। ছোট বাচ্চারা আবদার করেছিল। কিন্তু ডিউটি বাদ দিয়ে বাসায় যাওয়ার সুযোগ নেই। অন্য একদিন হবে বলে বাচ্চাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন।

ঈদের দিনও এভাবেই নগরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা বলেও জানা যায়।

জয়নিউজ/আরসি
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM