একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যজন মমতাজউদদীন আহমদ গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে রাজধানী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
তাঁর ছেলে ডা. সেজান মাহমুদ তিতাস বলেন, ‘বাবা মোটেও বিপদমুক্ত নন। তাঁর শরীর অক্সিজেন পাচ্ছে না। কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কে পানি জমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অলৌকিক কিছু না ঘটলে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার বেশি রোগীকে টিকিয়ে রাখা যায় না।’
বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন নাট্যব্যক্তিত্ব মমতাজউদদীন আহমদ। শনিবার (১ জুন) শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাঁকে দ্রুত অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মমতাজউদদীন আহমদের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে। রাজশাহী সরকারি কলেজে পড়ার সময় তিনি রাষ্ট্রভাষার আন্দোলনে যুক্ত হয়ে পড়েন। ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপুর সান্নিধ্যে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ভাষার দাবিতে আন্দোলন সংগঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জেলও খেটেছেন একাধিকবার।
কর্মজীবনে মমতাজউদদীন আহমদ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও পরে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তাঁর লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ ও ‘রাজা অনুস্বারের পালা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
নাট্যচর্চায় অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদক দেয়। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি ও আলাউল সাহিত্য পুরস্কার।
জয়নিউজ/আরসি