লক্ষ্মীপুরে খাদ্য সহায়তার চাল না পাওয়ায় জেলেদের হতাশা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জেলেদের ভাগ্যে জোটেনি খাদ্য সহায়তার চাল। এতে কষ্টে ঈদ কেটেছে ১৩ হাজার জেলের। একদিকে নদীতে মাছ নেই, নেই বিকল্প কর্মসংস্থান, ঈদের আগে দেওয়া হয়নি সহায়তার চালও। এ নিয়ে ক্ষোভ জানালেন জেলেপল্লীর বেশ কয়েকজন জেলে।
লক্ষ্মীপুরে খাদ্য সহায়তার চাল না পাওয়ায় জেলেদের হতাশা | snapshot20190607161355 Copy

- Advertisement -

স্থানীয় জেলে ও জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি হিসাবে জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। নিবন্ধিত রয়েছে ৪২ হাজার জেলে। আর কমলনগর উপজেলায় রয়েছে ১৩ হাজার জেলে।

- Advertisement -google news follower

লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।

এ অবস্থায় কমলনগরে ১৩ হাজার জেলেকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের প্রত্যেককে চলতি বছরের মে পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও ঈদের আগে ভিজিডি (জেলে খাদ্য সহায়তার চাল) দেওয়া হয়নি।

- Advertisement -islamibank

লক্ষ্মীপুরে খাদ্য সহায়তার চাল না পাওয়ায় জেলেদের হতাশা | snapshot20190607161151 Copy
এছাড়া প্রত্যেক জেলেকে ১২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। দেওয়া হয়নি ঈদের আগে চতুর্থ কিস্তির চাল।

অভিযোগ উঠেছে, কমলনগরে চর মাটিন, হাজির হাট, চর লরেঞ্জ,পাটোয়ারির হাট ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়নি। এতে  জেলেদের সংসারের অভাব মেটানো  কষ্টকর হয়ে পড়ে। ঈদের জামা-কাপড়, চিনি-সেমাই কিনতেও ধার দেনার কথা জানিয়েছেন অনেকেই।

চরকালকিনির জেলে লিটন, মনির হোসেন,মো. সবুজ, জলিল ও নীরব জানান, নদীতে মাছ নেই, পড়ার লুঙ্গি নেই, ঘরে খাবার নেই, চার মাস চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তিন মাস দিয়ে পরে তা আর দেওয়া হয়নি তাদের।
লক্ষ্মীপুরে খাদ্য সহায়তার চাল না পাওয়ায় জেলেদের হতাশা | snapshot20190607161337

পাটোয়ারির হাট ইউনিয়নের জেলে জামশেদ আলম, মো. আবুল কালাম, আ. মতিন ও মো. নুর আলম জানান, শেষ কিস্তির চাল ঈদের আগে তারা পাননি। একই চিত্র কমলনগরের অন্যান্য ইউনিয়নেও দেখা গেছে।

পাটোয়ারির হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল আমিন রাজু জয়নিউজকে বলেন, চতুর্থবারের চাল মে মাসে দেওয়ার শেষ সময় থাকলেও ট্যাগ অফিসারদের অনুপস্থিতির কারণে দিতে পারিনি। তবে ঈদের ছুটির পর ট্যাগ অফিসার আসলে জেলেদের চাল দেওয়া হবে।

চরকালকিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ্ জয়নিউজকে বলেন, ঈদের আগে চতুর্থ বারের জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল কিছু জেলেকে দেওয়া হয়েছে। তবে যারা বাকি রয়েছে তাদের দু’-এক দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি কমলনগর উপজেলা সভাপতি রফিক চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরতে না পারায় জেলেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ঈদের আগে চতুর্থ কিস্তির চাল পেলে জেলেদের ঈদ কিছুটা হলেও ভাল হতো।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জয়নিউজকে বলেন, চরকালকিনি পাটোয়ারির হাট ও সাহেবের হাট এলাকায় মোট জেলেদের ৫০ ভাগ বসবাস করে।  চাল বিতরণের শেষ সময় ছিল ৩১ মে। কানকিনি ও পাটোয়ারির হাট ইউনিয়নের চতুর্থ কিস্তির চাল বিতরণ করা হয়নি। ঈদের আগে জেলেরা শেষ কিস্তির চাল পায়নি বিষয়টি দুঃখজনক। ঈদের ছুটিতে স্থানীয় ট্যাগ অফিসাররা বাড়ি চলে যাওয়ার চাল বিতরণ সম্ভব হয়নি।

জয়নিউজ/আতোয়ার/বিশু

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM