গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। মোবাইলে বসে সব নিউজ এখন পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন পোর্টাল এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়াও এখন সংবাদমাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করুন। কে রক্তচক্ষু দেখাল, হুমকি দিল, সেটা বিষয় নয়। সরকারের কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনারা নাগরিক দায়িত্বের বাইরে গিয়ে একটা বড় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। নানারকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে আপনাদের কাজ করতে হয়। মফস্বলের সংবাদাতাদের কাছে সাংবাদিকতা পেশার চেয়ে নেশা হয়ে যায়। এটাকে আমি পবিত্রতার সঙ্গে দেখি। সমাজব্যবস্থায় সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব আছে। আপনারা সেটা পালন করে চলেছেন। তবে শেখার শেষ নেই, অর্জনেরও শেষ নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমার আত্মীয়-স্বজন বা আমার অন্যায়ের বিরুদ্ধে হলেও নিউজ করতে আমি আপনাদের উৎসাহিত করছি। তবে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাউকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য যেন সংবাদ পরিবেশন না হয়। সে সংবাদে সরকারি দল বা বিরোধী দলের নেতা, যেই হোক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। গভীরে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, দায়িত্ব চিরস্থায়ী। সকলের জন্য কাজ করা হচ্ছে দায়িত্ববোধ। সততা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আমার কর্তব্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আমি বিশ্বাস করি। আমি এক পয়সা ঘুষ খাব না, কমিশন নেব না, অনিয়মে সম্পৃক্ত হবো না, কোনো অনিয়মকে আমি সমর্থন করবো না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন সংবাদ পরিবেশন করা সাংবাদিকের অধিকার, কৃপা নয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহে শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন। এ কারণে তিনি তথ্য অধিকার আইন করেছেন, যাতে যেকোনো মানুষ তথ্য পেতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সংবাদমাধ্যমকে এত বেশি প্রসারিত করা, ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে এত বেশি লাইসেন্স দেওয়া, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াকে এত বেশি কাজ করার সুযোগ দেওয়া, শেখ হাসিনার বাইরে আর কেউ কোনোদিন দেননি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারেও ছিল পিআইবিকে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা।
পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ।