পূর্ব রাউজানের দুবাই ফেরত প্রেমতোষ বড়ুয়া দুই একর জমিতে করেছিলেন মাল্টার চাষ। জয়নগর বড়ুয়া পাড়া এলাকার ওই বাগানে পোকা-মাকড় দমনে বসিয়েছিলেন ফেরোমন ফাঁদ।
প্রেমতোষ এর সুফল পেয়েছেন খুব কম সময়ে। কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই তার বাগানে এবার মাল্টার ভালো ফলন হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রেমতোষের মাল্টা বাগানের সর্বত্র ফেরোমন ফাঁদ বসিয়ে পোকা-মাকড় দমন করা হচ্ছে। দুই একর জমিতে মাল্টা গাছ লাগানোর প্রায় তের মাস পর ফলন পেতে শুরু করেছেন তিনি।
তবে এবার প্রত্যাশামাফিক ফলন না পেলেও আগামী বছর ৬০ হাজার মাল্টা উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় তার পরের বছরের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬০ হাজার মাল্টা উৎপাদন।
তবে শুধু মাল্টাই নয়, প্রেমতোষের বাগানে আরো রয়েছে কমলা, লিচু, আম, পেঁপে ও লেবু।
প্রেমতোষ জানান, দুই একর জমিতে ফলের বাগান করতে তার খরচ হয়েছে ছয় লাখ টাকা। বৌদ্ধ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে অ্যাগ্রোভেট ফার্ম নামে ফলের বাগানটি গড়ে তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘৯০ সালে জীবিকার তাগিদে দুবাইতে পাড়ি জমাই। ২০০৯ সালে দুবাই থেকে দেশে এসে জমিতে চাষাবাদ শুরু করি।’
‘পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে দুই একর জমিতে মাল্টা ফলের চাষ করি। বাগানে কোনো ধরনের কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করিনি। ফেরোমন ফাঁদ বসিয়ে পোকা-মাকড় দমন করে এখানে মাল্টার উৎপাদন হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রেমতোষ তার মাল্টার বাগান গড়ে তুলতে সেচ পাম্প, পাইপ ও হ্যান্ড পাওয়ার পাম্প দিয়ে সহযোগিতার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।