দলিল নিবন্ধনে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে: টিআইবি

দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবাখাতে ব্যাপক সুশাসনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এখাতে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে সেবা দেয়ার নামে জিম্মি করে, সময়ক্ষেপণ করে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ ও ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। দুর্নীতির মহোৎসব চলছে বলে আমরা দেখতে পাই।

- Advertisement -

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

- Advertisement -google news follower

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো ভূমি দলিল নিবন্ধন অফিস ব্যতিক্রমও পেয়েছি। অনেক কর্মকর্তা জবাবদিহিতার সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সে সংখ্যা তুলনায় খুবই কম। মোটাদাগে এ খাতে যে জবাবদিহিতা ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে কাজ করছে না। এর কারণ হচ্ছে এই সেবাখাতে যে দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে তা অংশীদারিত্বের ও যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতি হচ্ছে। সেখানে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত অংশীদারিত্বের দুর্নীতি হচ্ছে। যা কি না প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখায় রূপ নিয়েছে।

ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবাখাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে দুটি জিনিসকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। কর্তৃপক্ষের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। দুর্নীতির অংশীজনদের নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা, দুর্নীতিপরায়নদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে সেবাগ্রহীতারা হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন, সরকারের রাজস্ব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

- Advertisement -islamibank

দ্বিতীয়ত প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি ও আধুনিকায়নকে গুরুত্ব দেয়া। যদিও সরকার এই কার্যক্রম গ্রহণ করলেও অগ্রগতি নেই। এক্ষেত্রে ই-নিবন্ধনসহ পুরো প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। এটা সম্ভব হলে এই খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সুলতানা কামাল, উপদেষ্টা (নির্বাহী) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। গবেষণা পরিচালনা ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রোগ্রাম ডেপুটি ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) শাম্মী লায়লা ইসলাম ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) নিহার রঞ্জন রায়।

জয়নিউজ/পিডি

 

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM