রায়ে সন্তুষ্টি, দ্রুত কার্যকর চান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

নগরের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় ৫ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

- Advertisement -

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রায় ঘোষণার পর জয়নিউজকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

- Advertisement -google news follower

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা লালদীঘির ময়দানে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেদিন অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও অমরা সমাবেশ করেতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। নেত্রীকে নিয়ে সমাবেশ স্থলে অগ্রসর হলে অমাদের গাড়িবহরে হামলা হয়। অল্পের জন্য নেত্রী রক্ষা পান।এই সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। আমার পায়ে গুলি লাগে। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি।

তিনি বলেন, আজ মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এখন একটায় দাবি রায়টি যাতে দ্রুত কার্য কর করা হয়।

- Advertisement -islamibank

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরের লালদীঘি মাঠে সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ২৪ জন মারা যান। আহত হন দু’শতাধিক মানুষ।

নিহতরা হলেন, মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরায় প্রাণ ফিরে পায়। আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্তের ভার পড়ে সিআইডির ওপর।

সিআইডি ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে। আবারও আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশের আট সদস্যকে আসামি করে দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৯ জানুয়ারি সাফাই সাক্ষী দেন ৪ আসামি। ১৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৩ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পুলিশের তৎকালীন হাবিলদার প্রদীপ বড়ুয়া, কনস্টেবল মমতাজ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ ও ইন্সপেক্টর গোপাল চন্দ্র (জেসি) মণ্ডল। জেসি মণ্ডল ছাড়া অন্য ৪ আসামী কারাগারে রয়েছে।

এ মামলার অপর ৪ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কনস্টেবল বশির উদ্দিন ও আব্দুস সালাম মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্সপেক্টর গোপাল চন্দ্র (জেসি) মণ্ডল ঘটনার পর থেকে নিরুদ্দেশ। তিনি ছিলেন কোতোয়ালী অঞ্চলের পেট্রোল ইন্সপেক্টর।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM