খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি সদস্য ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে বিজিবির সদস্য নিহত ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
ঘটনার দুই দিন পর বৃহস্পিতবার (৫ মার্চ) দুপুরের দিকে ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের হাবিলদার ইসহাক আলী বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বেআইনীভাবে জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান, আঘাত, গুরতর জখম, হত্যা ও হত্যা চেষ্ঠা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাটিরাঙা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহনুর আলম জানান, বিজিবির গুলিতে নিহত সাহাব মিয়া প্রকাশ মুছা মিয়া, আকবর আলী, আহাম্মদ আলী, মো. মফিজ মিয়া ছাড়াও স্থানীয় মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া এবং মৃত শহীদ উল্লাহর ছেলে মো. রফিকুল ইসলামকে অন্যান্যের মধ্যে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩ মার্চ) নিজের বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাটিরাঙার গাজিনগরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যকার সংঘর্ষ হয়। এসময় বিজিবি সদস্যরা গুলি করলে ঘটনা স্থলেই মারা যায় সাহাব মিয়া ও তার ছেলে মো. আকবর আলী। পরে গুলিবিদ্ধ স্থানীয় আহাম্মদ আলী, মফিজ মিয়া এবং মো. হানিফ মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানেই মারা যায় আহাম্মদ আলী। এ ঘটনায় শাওন খান নামে এক বিজিবি সদস্যও মারা যায়। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় আহাম্মদ আলীর শ্বশুর মো. মফিজ মিয়া।
জয়নিউজ/জাফর/পিডি