করোনা আতঙ্কে ভুগছেন নাতো ‘ডক্টর শপিং’ রোগে?

‘ডক্টর শপিং’ শব্দটা হয়তো অনেকের অজানা। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে ডক্টর শপিং বিষয়টা আসলে কি। ডক্টর শপিং হলো নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সর্বদা সংশয়-দুশ্চিন্তা, একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই হল ‘ডক্টর শপিং সিনড্রোম’।

- Advertisement -

২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্স সংক্রমণের সময়েও দেখা গিয়েছিল এই সিনড্রোম। আর ২০২০ সালে বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা করোনা আতঙ্কে ফের বাড়ছে এই রোগের উপসর্গ। সাধারণ মানুষ শুধু নয় খোদ ডাক্তারদেরও দেখা দিয়েছে এ রোগের উপসর্গের।

- Advertisement -google news follower

কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র বা কোভিড-১৯ চিকিৎসাকেন্দ্রে ডিউটি পড়লে কী করবেন, তা জানার জন্য। উদ্বেগ এতই যে একসঙ্গে প্রায় দুশোটি মাস্কের অর্ডার দিয়েছিলেন। নিজে চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও ভারতের এক চিকিৎসকের দেখা দিয়েছিল এ ডক্টর শপিং সিনড্রোম।

ঘটনাটির উল্লেখ করে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টস (আইএসিপি) জেনারেল সেক্রেটারি মনোজ কে বজাজ বলছেন, ছেলেটি আমার ছাত্র। নিজে চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও ডক্টর শপিং সিম্পটম তৈরি হয়েছিল তাঁর মধ্যে। আসলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। যার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এই উপসর্গের মাধ্যমে। এমনকি, সাধারণ কাশি, হাঁচি হলেও অনেকে ভাবছেন তাঁরা সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন। তার পরেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার পর্ব শুরু, যা প্রায় থামতেই চাইছে না।

- Advertisement -islamibank

মনোবিদদের অনেকেই ধারণা করেন, সাধারণ সময়ে অনেকের মধ্যেই ‘ডক্টর শপিং সিনড্রোম’ দেখা যায়। এই সিনড্রোম যাঁদের মধ্যে থাকে, তাঁরা ঘনঘন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। সব সময়েই তাঁরা মনে করেন, তাঁদের মধ্যে কোনও না কোনও অসুস্থতা রয়েছে। এমনকি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক এলেও তাঁরা নিশ্চিন্ত হতে পারেন না যে, তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ। এই উপসর্গের মাত্রা বেশি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে ‘হাইপোকনড্রিয়াসিস’এর লক্ষণ ফুটে ওঠে। যার সহজতম অর্থ হল, স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তা করা। কোনও বড় অসুখ হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক সব সময়ে তাড়া করে তাঁদের।

তবে মনোবিদরা বলছেন বর্তমান করোনা আতঙ্কে এটি একদমই অস্বাভাবিক নয়। বরং তা স্বাভাবিক। তাদের অনুমান, করোনার কারণে শারীরিক বা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের কমপক্ষে ৩০-৪০ শতাংশের মধ্যেই এই উপসর্গ থেকে যাবে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্থ, গান্ধীনগর (আইআইপিএইচ-জি)-এর বিজ্ঞানী ও মনোবিদ অপূর্বকুমার পাণ্ড্য বলেন, ‘‘অতীত দেখলেই বোঝা যাবে, মহামারি থামার পরেও সংক্রমণজনিত ভয় এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে স্থায়ীভাবে থেকে গিয়েছে। স্বাস্থ্য-সচেতন হওয়া ভাল। কিন্তু অকারণ দুশ্চিন্তা অথবা বার বার চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করতে পারে।

সূত্র: আনন্দবাজার

জয়নিউজ/পিডি

 

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM