বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে’ শিরোনামে বসন্ত উৎসব ১৪২৭ উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থিয়েটার ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠান হয়।
বসন্ত আবাহন, আবৃত্তি, সংগীত, যন্ত্রসংগীত, নৃত্য, শোভাযাত্রা, ঢোলবাদন, বায়োস্কোপ ও পিঠাপুলির সমারোহে দিনব্যাপী এ উৎসব সাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। তিনি বোধনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ এ বছরের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, মুজিবশতবর্ষে বোধন বসন্ত উৎসব উদযাপন করছে। বোধনের এই কর্মকাণ্ড বাঙালির মহান অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করবে এবং নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে।
বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ডা. উত্তম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু ও চসিক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বোধনের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী।
এর আগে বোধন সহসভাপতি আবৃত্তিশিল্পী প্রবীর পালের আবৃত্তি এবং উস্তাদ স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পরিচালনায় সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গ সংগীতের মাধ্যমে প্রভাতী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে অভ্যুদয় সঙ্গীত অঙ্গন ও গীতধ্বনি। দলীয় নৃত্য পরিবশন করে ওডিসী এন্ড টাগুর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টার, নৃত্যম একাডেমি, রুমঝুম নৃত্যকলা একাডেমি, স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ডান্স, নৃত্য নিকেতন এবং অদিতি সংগীত নিকেতন।
দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রাম। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শ্রাবণী দাশগুপ্ত। একক সংগীত পরিবেশন করেন শ্রেয়সী রায়, শুভ দাশ, দেবলিনা চৌধুরী, নুসরাত রিনি, মধুলিকা মন্ডল ও প্রিয়া ভৌমিক।
দুপুর ৩টায় ঢোলবাদনের সঙ্গে বর্ণাঢ্য বসন্তবরণ শোভাযাত্রা নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ভায়োলেনিষ্ট চট্টগ্রামের যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে বিকেলের অধিবেশনের সূচনা হয়। এরপর দলীয় সংগীত পরিবশন করে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি ও ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমি। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এএসএম এরফান, দুলাল দাশ ও সন্জীব বড়ুয়া।
দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম। একক সংগীত পরিবেশন করেন আরিফা সিদ্দীকা, জলি চৌধুরী, গায়ত্রী চৌধুরী,
কিশোরী হৈমন্তী টুম্পা, সাইফুল ইসলাম সাঈফ এবং মিতালী রায়। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন জয় সেন হিরো ও ববি মনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাভেদ হোসেন, রাজিউর রহমান বিতান, মাইনুল আজম চৌধুরী, তৈয়বা জহির আরশি, আফরোজা নীরু, অসীম দাশ, রমিজ বাবু, সেহেলী হাসনাত, রীমা দাশ, মোহিনী সংগীতা সিংহ এবং সন্দীপন সেন একা।
পুরো আয়োজনে সহায়তা করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন চট্টগ্রাম, ইস্পাহানী, বসুন্ধরা গ্রুপ ও যশদা হাসপাতাল। মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক আজাদী।