ই-কমার্স নিয়ে যে মতামত দিলেন সরকারের ৪ মন্ত্রী

ডিজিটাল কমার্স (ই-কমার্স) ব্যবসার সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৪ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে এ সভা শেষ হয় ৫টা ৫০ মিনিটে।

- Advertisement -

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

- Advertisement -google news follower

রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স বন্ধ না করে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। সারা বিশ্বের ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সঙ্গে লাখ-লাখ মানুষ জড়িয়ে পড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে।

রেগুলেটরি অথরিটি থেকে ই-কমার্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে এবং কঠোরভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য মনিটরিং করা হবে বলেও জানান তিনি।

- Advertisement -islamibank

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স সুনাম অর্জন করেছে, মানুষ উপকৃত হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অসৎ ব্যবসা ও প্রতারণার কারণে সব ই-কমার্স বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না।

যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ না পায়, সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করা প্রয়োজন
মানুষ যাতে টাকা ফেরত পায়, সেজন্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন বলে সভায় নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ কম দামে পণ্য পেতে চাইবে, এটাই বাস্তবতা। ই-ব্যবসার জন্য জামানত রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ব্যবসা যত বড় হবে জামানত তত বেশি হবে। মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে, প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। মানুষ যাতে টাকা ফেরত পায়, সেজন্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আইনের আওতায় এনে ই-কমার্সকে সুশৃঙ্খল করতে হবে, যাতে করে কেউ প্রতারণা করতে না পারে।

অনেক মানুষ প্রতারিত হবার অভিযোগ আছে
ই-কমার্সে অনেক মানুষ প্রতারিত হবার অভিযোগ আছে বলে সভায় জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটি আইন তৈরি করা প্রয়োজন। দেশের কোনো মানুষ যাতে ডিজিটাল বাণিজ্যে প্রতারিত না হন, সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এজন্য একটি প্লাটফর্ম গঠন করা দরকার।

সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে
প্রতারণার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে নিজের অভিমত তুলে ধরেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য প্রচার মাধ্যম বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে প্রতারণার সুযোগ কমে আসবে। রেগুলেটরি অথরিটিকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে এবং মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হবার সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য আইন করা দরকার। এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা যেতে পারে। গুটিকয়েক প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM