চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার পরিকল্পক ও খলনায়কদের আজ যে বিচারিক রায় ঘোষিত হয়েছে এতে যে ব্যক্তিটি হাওয়া ভবনের মালিক এবং সেখানে বসেই শেখ হাসিনা হত্যা অপচেষ্টা নির্দেশনা হয়েছিল তার সর্বোচ্চ শাস্তি জাতি প্রত্যাশা করেছিল।
অবশ্য আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি বলেন, ‘আমাদের হৃদয়ের অসন্তোষ উচ্চ আদালত বিবেচনা করবে’।
বুধবার (১০ অক্টোবর) শহীদ মিনারে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর চট্টগ্রাম ১৪ দলের এক গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি একটি রাজনৈতিক পজিটিভ পাওয়ার। এ ঐক্যকে ধরে রাখতে ১৪ দল রাজপথে থাকবে’।
তিনি জনগণকে এ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে সে অপচেষ্টাকে রুখে দিয়েছে। আমরা আগামীকালও নগরীর ১৭টি পয়েন্টে রাজপথে থাকবো।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও চট্টগ্রাম ১৪ দল নেতা মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কবর রচনা হচ্ছে। এ দেশে জঙ্গীবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন ঠাই নেই।
এতে বক্তব্য দেন ১৪ দলের অন্যতম নেতা ওয়াকার্স পার্টির জেলার সভাপতি এড. আবু হানিফ, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহানগর আহ্বায়ক আজাদ দোভাষ, গণতন্ত্রী পার্টি জেলার সাধারণ সম্পাদক তাজের মল্লুক। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, বাংলাদেশ জাসদের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক, সাম্যবাদী দলের অমূল্য বড়–য়া, ত্বরিকত ফেডারেশনের কাজী আহসানুল মোরশেদ আলকাদেরী, গণ আজাদী লীগের নজরুল ইসলাম আশরাফী, ন্যপের মিঠুল দাশগুপ্ত, গণতন্ত্রী পার্টির স্বপন সেন।