আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন প্রতিভাবান আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক কমল দাশ। `Beyond Vision Photocontest 2018-2019’ প্রতিযোগিতায় মেন্টর চয়েসে ‘লুকিং ফর লাইফ’ ছবির জন্য তিনি সোমবার (১৪ জানুয়ারি) এ পুরস্কার পান। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইনে জন্ম কমল দাশের। তাঁর বাবার নাম প্রসন্ন কুমার দাশ ও মা পুষ্পবালা দাশ। ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। তবে ১৯৯৫ সালে এসে রঘু রাই, নিমাই ঘোষ, আনোয়ার হোসেন, বিজন সরকার, শহীদুল আলম, নাসির আলী মামুন ও শোয়েব ফারুকী’র আলোকচিত্র দেখে ফটোগ্রাফির প্রেমে পড়ে যান।
কমল দাশ জয়নিউজকে জানান, বাড়িতে বাবার একটা শখের ক্যামেরা ছিল, যেটি রাশিয়া থেকে আনা। মায়ের আপত্তি থাকলেও বাবার সায় ছিল ভীষণ। মূলত বাবার অনুপ্রেরণায় ফটোগ্রাফিতে পথচলা শুরু।
সাদা-কালো ছবির প্রতি বিশেষ টান আছে উল্লেখ করে শিল্পী বলেন, প্রকৃতি আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির প্রেমে পড়ে ক্যামেরা কাঁধে ঘুরতে থাকি পাহাড় থেকে পাহাড়ে। পার্বত্যাঞ্চলে ঘুরতে সবসময় সঙ্গী ছিলেন কবি জিল্লুর রহমান, দেবাশীষ রায়, শুভ বড়ুয়া, দ্বৈপায়ন পাল, লেখক খোকন কায়সার, মংখ্যাই মারমা ও বন্ধু আলোকচিত্র সাংবাদিক রাজেশ চক্রবর্তী।
ফটোগ্রাফি শেখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কমল বলেন, ফটোগ্রাফি নিয়ে বেশি আলাপ হয় বন্ধু রাজেশের সঙ্গে। তবে ফটোগ্রাফির শুরুটা অবশ্য একেবারে নিজের চেষ্টায়। পরে আনোয়ার হোসেন, নাসির আলী মামুন, পংকজ পালিত, রঘু রাই ও নিমাই ঘোষের কাছে প্রশিক্ষণ নিই। অবশ্য সাংবাদিকতায় আসার আগ্রহ তৈরি হয় অগ্রজ দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, রুপম চক্রবর্তী ও তাপস বড়ুয়ার ছবি দেখে।
শিল্পী আরো বলেন, ফটোগ্রাফি আমার প্রেম-ভালোবাসা। ফটোগ্রাফির জন্য জীবনে অনেককিছু হারিয়েছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা- ভালোবাসার এই কাজটি করতে করতেই যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি।
জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন পত্রিকায় ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে আলোকচিত্রী কমল দাশের অসংখ্য ছবি। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, ফটোগ্রাফিতে দেশ-বিদেশে ৬০টির বেশি পুরস্কার পেয়েছেন এ শিল্পী। এ অর্জনের জন্য শিল্পী কৃতজ্ঞতা জানান অশ্রু দাশ, দ্বৈপায়ন পাল ও অভিনেতা আশরাফুল আলম বাবলুকে।
প্রসঙ্গত, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম-এ আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করেছেন কমল দাশ। বর্তমানে তিনি আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান।