নগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। এজন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে এটা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
তারা সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার ব্যাপারে বলেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র চট্টগ্রামবাসী রুখে দিবে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একজন দেশবরেণ্য ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতক ব্যক্তিত্ব। তার বিরুদ্ধে বানোয়াট অডিও ফোনালাপ ব্যবহার করে সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার শেষ চেষ্টা করছে। আন্দোলন সংগ্রামে তার সক্রিয় ভূমিকা থাকার কারণে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে।
নগর নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুৃরীর মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবী কোন দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ছিল না। তাদের দাবী ছিল সার্বজনীন। অথচ এ আন্দোলনে কোন সংগঠন ঢুকেছে বলে অবৈধ ক্ষমতাবিলাসীরা নৃশংস আক্রমণ শুরু করে রক্ত ঝরিয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। প্রতারণা ও প্রলোভনের কৌশলে ব্যর্থ হয়ে তারণ্যের আন্দোলনকে এরা সব সময় নির্মম নিষ্ঠুরতায় দমন করেছে। গণতন্ত্রকে ছুরিকাহত, মানুষের মৌলিক অধিকারকে বিপন্ন ও রক্তপাতই আওয়ামীলীগের ঐতিহ্য। অবৈধ সরকারের শাসনকে টিকিয়ে রাখতে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বিবেক বিসর্জন দিয়ে রক্ত ঝরানোয় আনন্দে মেতে আছে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতাদের বলেছিলেন শিক্ষার্থীদের বোঝাতে। কিন্তু বোঝানোর পরিণাম দেশবাসী দেখলো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর তাদের হিংস্র আক্রমণ। এই আক্রমণে আবারো প্রমাণিত হলো শেখ হাসিনা রক্তাক্ত পথেই ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে চায়।
নগর বিএনপি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মো: আলী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, সাবেক কমিশনার মাহাবুবুল আলম, এডভোকেট মফিজ উল হক ভূঁইয়া, এম এ হান্নান প্রমূখ। সঞ্চালনা করেন সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম।