ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা বেড়ে হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশংকা করছে দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বিপুল পরিমাণ লাশের পরিচয় নির্ণয় করা দু:সাধ্য এবং এরমধ্যেই লাশে পচন ধরে রোগ ছড়ানোর আশংকায় গণকবরে লাশ দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পালুর কয়েকটি হোটেল এবং শপিংমলের ধ্বংসস্তুপে এখনো বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে। কয়েকটি গ্রামে ভূমিধসেও শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে ডংগালায়। পালুর উত্তরের এ অঞ্চলটিতে ৩ লাখ মানুষের বাস। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই এ এলাকার অবস্থান। ডংগালাসহ আরো দুটি এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ৪টি এলাকা মিলে লোকসংখ্যা আনুমানিক ১৪ লাখ।
পালু শহরের পর্বতে খোঁড়া হয়েছে গণকবর। ট্রাকে করে ব্যাগে মোড়ানো লাশ এনে ফেলা হচ্ছে সেখানে। বেঁচে যাওয়া মানুষেরা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে সাহায্যের জন্য। ভূমিকম্পের প্রায় তিনদিন পরও পালুর ধ্বংসস্তুপে বসে ত্রাণ ও খাবারের অপেক্ষায় আছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত। তাই দুর্গত এলাকায় সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে। ত্রাণ যথাসময়ে না পৌঁছানোয় অনেকেই শপিং মলগুলোতে ঢুকে খাবার ও পানি লুট করছে।
একটি উৎসব উপলক্ষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়েকশ লোক পালুর সৈকতে জড়ো হয়েছিল। আবছা অন্ধকারে ধেয়ে আসা ২০ ফুট উঁচু পানির দেয়াল সৈকত থেকে তাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিধ্ধস্ত হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট।
জয়নিউজ/আল্পনা/জুলফিকার