রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন নিহত এবং ২৮ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী।
নিহতরা হলেন পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর রহমান (৬৬), মনির (৫০) ও নিরস ভিগ্নে রাজা (৪০)।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।
দমকল বাহিনীর সদরদপ্তর থেকে ডিউটি অফিসার মো. রাসেল, দমকল বাহিনীর ২০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এদিকে পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনীর সদস্যদের।
হেলিকপ্টার থেকেও ভবনটিতে পানি ঢালা হয় উল্লেখ করে তারা জানান, দমকল বাহিনীর সদস্যরা মই ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
এফ আর টাওয়ারটি বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে অবস্থিত। ২২ তলা ভবনটির অষ্টম তলায় আগুন লাগে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আগুনের তাপে ভবনের কাঁচ ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটিতে অফিস ও রেস্টুরেন্ট আছে। আগুন লাগার সময় ভবনের ভেতরে অনেক লোকজন ছিলেন। আগুন থেকে বাঁচতে একাধিক ব্যক্তিকে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে। তবে লাফিয়ে পড়াদের পরিণতির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
টাওয়ারের ভেতর আটকে পড়া স্বজনদের জন্যে রাস্তায় অপেক্ষারত ব্যক্তিদের আর্তনাদ করতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে এফ আর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।