প্রতিটি দেশেই কফির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বব্যাপি দিনের পর দিন বাড়ছে কফির চাহিদা। পাহাড়ি অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ২০০১ সালে ২ একর জায়গায় প্রায় ৪৫০টি গাছ দিয়ে এই চাষ শুরু করেন।
কফি গাছের ফুল দেখতে অনেকটা বেলি ফুলের গাছের মতো। তবে তা উচ্চতায় কম, প্রস্থের দিক বেশ বড়। পাহাড়ি উপত্যকা বা ছায়াযুক্ত জমি কফি চাষের উপযোগী। বাড়ির আঙিনায়ও কফির চাষ করা সম্ভব। কফি চাষে চারা রোপনের ৪/৫ বছরের মধ্যে কফির ফল সংগ্রহ করা যায়। কফির ফল দেখতে অনেকটা গমের মতো। আকারে একটু বড়।
একটি কফি গাছ থেকে প্রায় ৩০/৩৫ বছর ধরে ফল পাওয়া যায়। চাষের ক্ষেত্রে প্রতিটি গাছের জন্য খরচ হয় মাত্র এক থেকে দেড়শ’ টাকা। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে আধা কেজির বেশি কফির শুকনো ফল পাওয়া যায়।
কফি প্রক্রিয়াজাতকারী মোহাম্মদ জামাল জয়নিউজকে জানান, খুব অল্প সময়ে কফির বিনগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করলে তাৎক্ষনিক তৈরি হয়ে যায় কফি। এ কফি বাজারের সাধারণ কফির চেয়ে বহুগুণ সুস্বাদু।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী আব্দুর রশিদ বলেন, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ২০০১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে আমরা কফি চাষ শুরু করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ পাহাড়ের কফি অনেক ভালো মানের। আমরা আশাকরি কৃষকের মাঝে এ কফি চাষ ছড়িয়ে দিতে পারবো। কফি চাষ করে পাহাড়ের কৃষক উপকৃত হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি কর্মকর্তা সফর উদ্দিন জানান, অল্প সময়ে কফি চাষে ফলন পাওয়া যায়। পাহাড়ের কফিগুলো খুবই সুস্বাদু। পার্বত্য চট্টগ্রাম কফি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। যদি কৃষকের মাঝে সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে এই পাহাড়ের কৃষকরা লাভবান হবে।