মুক্ত পরিসরে সন্ধ্যায় লাল, নীল কিংবা সবুজ আলোর খেলায় মেতে ওঠা ঝলমলে হাতিরঝিল রাজধানীবাসীকে নিমিষেই ভুলিয়ে দেয় কর্মক্লান্তি। বন্দরনগরের সাধারণ মানুষের অনেকদিনের দাবি, প্রাণের শহরে চাই তেমনই এক ‘হাতিরঝিল’। খুব শিগগির এই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। কর্ণফুলীর দখলমুক্ত জমিতে হবে আধুনিক এক বিনোদনকেন্দ্র। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জয়নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক কাউছার খান।
ইট-পাথরের শহরে কর্মব্যস্ত নগরবাসীর জন্য বেড়ানোর তেমন কোন জায়গা নেই। তাই বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে এই বিনোদনকেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চলমান উচ্ছেদ অভিযানের মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল বা লন্ডনের টেমস নদীর আদলে কর্ণফুলী নদীর তীরে আধুনিক এই বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ পরিকল্পনার কথা জানান তারা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, নান্দনিকরূপে কর্ণফুলী নদীর তীরকে সাজানো হচ্ছে। নগরবাসীর জন্য এখানে বিনোদন কেন্দ্র করা গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও ভূমিমন্ত্রী অবৈধ ভূমি উদ্ধারে জিরো টলারেন্সে আছেন। আর কেউ যেন আবার কর্ণফুলী নদীর তীর দখল করতে না পারে সেজন্য নগরবাসীর জন্য এখানে বিনোদনকেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এই এলাকাকে যেন হাতিরঝিলের আদলে গড়ে তোলা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, টেমস নদীর আদলে কর্ণফুলীকে গড়ে তোলা হবে। এখানে হাঁটার ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে বিভিন্ন ফুলের গাছের সংগ্রহে সমৃদ্ধ বাগান। একইসঙ্গে নগরবাসী সন্ধ্যায় নদীতে নোঙর করা শত শত জাহাজের বাতির ঝলমল আলো যাতে দেখতে পারেন, সেজন্য দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা দ্রুত সরকারের কাছে এই প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠাবো। আর যদি কেউ আবার অবৈধভাবে দখলে যেতে চায়, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।