কর্ণফুলী নদীর তীরে পাঁচ দিনে ১০ একরেরও বেশি জমি উদ্ধার এবং ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় নদীর সঙ্গে সংযুক্ত পাঁচটি উপখালের প্রবেশমুখ দখলমুক্ত করা হয়।
আগের চার দিনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
এদিন নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় আনু মাঝির ঘাটে অভিযান চালানো হয়েছে বলে জয়নিউজকে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান মুক্ত।
তিনি জয়নিউজকে জানান, গত পাঁচ দিনের অভিযানে কমপক্ষে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রায় ১০ একরেরও বেশি এলাকা দখলমুক্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচটি খালের প্রবেশপথ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এসব খাল দখল হতে হতে নালায় পরিণত হয়েছিল। এজন্য জলাবদ্ধতা হত। উচ্ছেদের পর খালকে যদি পুরানোরুপে ফেরানো যায়, জলাবদ্ধতাও কমে যাবে।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আরও কাজ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস, কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ ও র্যাব-পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নিযুক্ত ১০০ জন শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে কাজ করেন।
এদিকে, আনু মাঝির ঘাটের আশপাশের এলাকায় নদীর পাড়ে নগরের সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জয়নিউজ/কাউছার/বিশু