পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুখপাত্র মাসিক মুঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক সরওয়ার কামাল প্রেরিত এক বিবৃতিতে তার এ হস্তক্ষেপ চাওয়ার কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজত আমীর আল্লামা আহমদ শফি বলেন, ‘খতমে নবুওয়াতের অস্বীকারকারী ব্রিটিশের পা চাটা গোলাম, মুসলিম উম্মাহর জঘন্য শত্রু, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) মাধ্যমে নবুওয়াতের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হওয়ার বিষয়কে অস্বীকার করে। ব্রিটিশদের দালালি এবং মুসলমানদের ধোঁকা দেওয়ার নিমিত্তে মিথ্যা নবুওয়াত দাবি করেছিল। ভারত সাম্রাজ্যকে যে সকল ব্রিটিশ বেনিয়ারা দীর্ঘ ১৯০ বছর গ্রাস করেছিল, তাদের তল্পিবাহক হয়ে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ভন্ড নবুওয়াতের দাবিদার সেজে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়।’
কাদিয়ানী ইজমের উৎস পাকিস্তানে এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারীদের ইসলামের গণ্ডিবহির্ভূত ‘অমুসলিম সংখ্যালঘু’ ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।’
বাংলাদেশেও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জোর দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কাদিয়ানীরা অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’নামে নিজেদের মুসলমান বলে বিশ্বনবীর খতমে নবুওয়াতকে অপমান করে যাচ্ছে। এ মাসের শেষের দিকে পঞ্চগড়ে তারা ইজতেমা করার যে ‘দুঃসাহস’ করেছে। এ ইজতেমা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। নইলে খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম পোষণ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’