নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নিহত ৫০ জনকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) নীরবে দাঁড়িয়ে স্মরণ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। এই স্মরণ অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ডকে আরো সদয় ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বক্তারা।
আল-নূর মসজিদের কাছে হ্যাগলি পার্কে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় অর্ধশত প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন শুক্রবার সকালে। এতে উপস্থিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
আরডার্ন বলেছেন, প্রাত্যহিক বাস্তবতায় সর্বোত্তম সৃষ্টিই আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ। কারণ আমরা অন্যের বিদ্বেষ, ভয়ের ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত নই। আমরা কখনোই তা ছিলাম না।
তিনি বলেন, তবে আমরা সেই জাতি হতে পারব যারা প্রতিষেধক আবিস্কার করেছে। এর জন্য আমরা যারা এখান থেকে যাব, আমাদেরকে এর জন্য কাজ করতে হবে।
বিশ্বকে চরমপন্থার ভয়াবহ চক্রের অবসান ঘটাতে হবে এবং এর জন্য বৈশ্বিক প্রচেষ্টা উল্লেখ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন আরদার্ন।
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলা চালায় ২৮ বছরের অস্ট্রেলিয় নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট। ঠান্ডা মাথায় এই হত্যাযজ্ঞে নিহত হয় ৫০ জন মুসলমান। নিহতরা সবাই পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী নতুবা শরণার্থী।