শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন এবং পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে গণ পরিবহনশূন্য হয়ে পড়েছে নগর। এতে অফিসগামী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন বেশি। তাদের কাছে গাড়ি পাওয়া যেন সোনার হরিণ পাওয়া। কেউ সোনার হরিণ পেয়ে গেলেও দাম হাঁকা হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। তাই অনেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেয় গন্তব্যের উদ্দেশে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। কেবল সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করছে।
সিইপিজেডগামী যাত্রী মো. আরিফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ, কিন্তু গাড়ির দেখা নাই। এদিকে অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভাররা এই সুযোগে ভাড়া চাইছে বেশি। ষাট টাকার ভাড়া এখন একশ’ পঞ্চাশ টাকা হাঁকছে।
নগরের আগ্রাবাদ, কাস্টমস মোড়, জিইসি মোড়, ২নম্বর গেইট, মুরাদপুর, চকবাজার, কাজির দেউড়ি, নিউ মার্কেট, অক্সিজেনগামী বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
মুরাদপুরগামী যাত্রী জামশেদুল আলম বলেন, বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। রাস্তায় এসে দেখি কোনো বাস নেই। যে কয়টা বাস আসে ভিড়ের কারণে ওঠা দায়। সমস্যায় পড়ে গেলাম।
ধর্মঘট পালন ও ড্রাইভিং লাইন্সেস, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গণ পরিবহনগুলো রাস্তায় বের হচ্ছে না উল্লেখ করে টেম্পো ড্রাইভার সাহাবউদ্দিন বলেন, যাদের লাইসেন্স ও কাগজপত্র আছে শুধু তারা গাড়ি বের করছে। আবার অনেকে ধর্মঘটকে সফল করার জন্য গাড়ি বন্ধ রাখছে।
জয়নিউজবিডি/আরসি