হাটহাজারীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমি আকতার (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটির ঘাড় ছিল ভাঙা। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী মোহাম্মদ রাশেদ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পৌর এলাকার উত্তর মোহাম্মদপুর ৯নং ওয়ার্ডের আনসর আলী সুফির বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর ৬ ও ১২ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।
সুমির বড় ভাই মোহাম্মদ বশির অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার বোনের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। বছর ছয়েক অতিবাহিত হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় সামাজিকভাবে সালিশি বৈঠকে সুরাহা হয়। তবে বছর না ঘুরতেই ফের যৌতুক নিয়ে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
মোহাম্মদ বশির আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার বোনের (সুমি আকতার) সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। প্রতিদিনের মতো তার ছেলেমেয়ে স্কুলে চলে যাবার পর কোনো এক সময় স্বামীর পরিবারের লোকজন মিলে তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুমির শ্বশুরবাড়ির বসতঘরের ফ্লোর (মেঝে) থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় নিহত সুমির ঘাড় ছিল ভাঙা। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এটি হত্যাকাণ্ড কি-না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে বলে জানান হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তৌহিদুল করিম। তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমরা এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করে দেখছি।
জয়নিউজ/তালেব/জুলফিকার