ঘূর্ণিঝড় ফণী’র শঙ্কায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত করা হয়েছে ২ হাজার ৭৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ইতোমধ্যে তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এসব আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং শুরু করে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় রেড ক্রিসেন্টের ১০ হাজার ও সিপিপির ৬ হাজার ৬৬০ স্বেচ্ছাসেবক, ২৮৪টি মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত ওষুধ, ৫০ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং ১ হাজার ৪০০ পিস হাইজিন কিডস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে আরও ১ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
এছাড়াও সহায়তা দিতে নগদ অর্থ, ৪২৭ মেট্রিক টন চাল, ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ৬ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন জয়নিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ জন্য তাদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।