তোমাকে মনে রাখবে কর্ণফুলী নদী, মরে রাখবে
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ। উনত্রিশে এপ্রিল,
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়, বন্দরটিলা দাউ দাউ আগুন
মরে রাখবে। তোমাকে মনে রাখবে কালুরঘাটে
শত শত অসহায় লাশের সারি, অভুক্ত মানুষ
আর নাম নাজানা মানুষের জানাজার প্রাঙ্গণ।
মনে রাখবে উপদ্রুত উপকূলের লঙ্গর খানা,
বিপন্ন মানুষের নিত্য অসহায় বিপন্নতা আর
কন্যাদায় গ্রস্থ পিতাদের আকুলতা। মনে রাখবে
ইশকুলের বিদ্যার্থী, শিক্ষাঙ্গনের সবুজ মাঠ আর
হাসপাতালে রোগাক্রান্ত মানুষের কাতরতা।
তোমাকে মনে রাখবে নাটকের পাড়া,
শিল্পকলা, আমাদের অনাবিল কবিতা।
মনে না রাখবে আন্দোলন পত্রিকা, সংবাদপত্র
আর আমাদের কলমের স্বাধীনতা।
তোমার কথা মনে রাখবে সমুদ্রবন্দর,
নোঙ্গরের জাহাজ আর শ্রমিকের ঘর্মাক্ত শ্লোগান।
মনে রাখবে মানুষের উদ্ধত সাহস, মুক্তির গান
তোমার কথাই শুধু বলবে দারুল ফজল চত্বর, দোস্ত বিল্ডিং,
শহরের দালান, প্রতিটি সড়ক
আর বিস্তীর্ণ লালদীঘি ময়দান। মিছিল থেকে
মিছিলে শ্লোগানে শ্লোগানে তুমিই থাকবে
এই জনপদে অনন্তকাল। তুমিই জয়বাংলা,
তুমিই চট্টগ্রাম। তোমার জন্যই সাহসী এই জনপদ,
সমুদ্র সন্তান। অতএব তোমাকেই মনে রাখবে চিরদিন
চট্টলবীর আবুল বাশার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
লেখকঃ
সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন