চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত (চবি) শহিদ মিনারের চূড়ার ‘আনারস’ নিয়ে হাস্যরসের পর নতুন অভিযোগ উঠল এর বিরুদ্ধে। এবার চবি শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশ এটি ‘পাকিস্তানি আদলে তৈরি’ বলে অভিযোগ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর চারটি ইটের স্তম্ভ তুলে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়ে মিনারটি। এরপর বিএনপি সরকারের সময় ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের নকশায় নির্মিত হয় আজকের শহিদ মিনার।
তবে বিএনপি আমলে নির্মিত এই শহিদ মিনারটি অনেক সময়ই জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। ভাস্কর্যের চূড়া আনারস সদৃশ হওয়ায় কম হাসি-ঠাট্টা হয়নি এটি নিয়ে। তবে এতে নতুন বিতর্ক যোগ করল চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তানে নির্মিত একটি স্থাপনার আদলেই নির্মিত হয়েছে এই শহিদ মিনার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৪০ সালে যে স্থানে পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি লাহোর প্রস্তাব পাশ হয়েছিল, পরবর্তীতে সেখানে একটি মিনার নির্মাণ করা হয়। যার নাম মিনার-ই-পাকিস্তান। এটি লাহোরের ইকবাল পার্কে অবস্থিত। মিনার-ই- পাকিস্তানের নকশা করেছিলেন জনৈক মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ খান। সেই মিনার-ই- পাকিস্তানের সাথে অনেকাংশেই মিলে যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারটি।
এ নিয়ে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল হক রুবেল, মো. নুরুজ্জামান, আল আমিন রিমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন জেমস, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাছির উদ্দীন সুমন, জামান নুর, এনামুল হক আরাফাত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক শায়ন দাশগুপ্ত উপাচার্য বরাবর এক স্মারকলিপি দেন। তারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের মৌলিক বিষয় ও ভিত্তির উপর নির্ভর করে এটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, একটা স্মারকলিপি পেয়েছি। আমার নেতৃত্বে একটা কমিটি নতুন করে শহিদ মিনার নির্মাণে কাজ করবে। আমরা ইতোমধ্যে নতুন করে শহিদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী একমাসের মধ্যে ফাউন্ডেশন বসানোর কাজ শুরু করব। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের আদলেই এটি নির্মাণ করা হবে। বর্তমান শহিদ মিনার ভেঙে সে জায়গায় বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।