কলার মোচার চিংড়ি ঘণ্ট
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম, মোচা ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, টাটকা নারকেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম, আদা, রসুন, লাল মরিচগুঁড়ো, হলুদ, জিরেগুঁড়ো এবং গরমমশলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, টমেটো ও সরষের তেল পরিমাণ মতো, দুধ পরিমাণ মতো, নুন ও চিনি স্বাদমতো।
প্রণালী: প্রথমে মোচাটা দুধে সেদ্ধ করুন। এবার জলটা ছেঁকে ফেলে দিন। নারকেল বাটা, চিংড়ি, আলু আলাদা করে সরষের তেলে ভেজে আলাদা করে রাখুন। তারপর সরিষার তেল কড়াইতে গরম করুন। তাতে কুচো পেঁয়াজ, আদা, রসুনবাটা, হলুদ, লাল মরিচগুঁড়ো, কুচো টমেটো, নুন ও চিনি দিয়ে ভালো করে মেশা না পর্যন্ত ভাজুন। তাতে ভাজা চিংড়ি, মোচা, আলু দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করুন। এতে জিরেগুঁড়ো, গরমমশলা দিয়ে ঘি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
পোস্ত দিয়ে চিংড়ি
উপকরণ: চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, পোস্তবাটা ৫০ গ্রাম, কুচো পেঁয়াজ ২০০ গ্রাম, আদাবাটা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচবাটা ২ টেবিল চামচ, আন্দাজমতো হলুদ, কালোজিরে, সরিষার তেল পরিমাণ মতো, তেজপাতা এবং নুন।
প্রণালী: তেল কড়াইতে গরম করে ওতে চিংড়ি দিয়ে দিন। এর মধ্যে কালোজিরে, সঙ্গে তেজপাতা আর কুচো পেঁয়াজ লাল করে ভাজুন। এতে কিছুটা আদা, রসুন, পোস্তবাটা দিন। সঙ্গে দিন হলুদ এবং পানি। এবার নুন দিয়ে ঝোলটা থকথকে হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। থকথকে হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
চিংড়ির রয়াল এগারু
উপকরণ: বাগদা চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, আদা ও রসুনবাটা ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচানো, টমেটো ৫০ গ্রাম, শুকনো মরিচেরগুঁড়ো ২ গ্রাম, ধনেগুঁড়ো ২ গ্রাম, হলুদগুঁড়ো ১ চিমটে, তেল পরিমাণ মতো, জিরেগুঁড়ো ২ গ্রাম, কারিপাতা ২ গ্রাম, গরমমশলা গুঁড়ো ২ গ্রাম ও নুন আন্দাজমতো।
প্রণালী: কড়াইতে তেল গরম করুন। পেঁয়াজকুচি সোনালি-বাদামি রং ধরা পর্যন্ত ভাজুন। এবার আদা-রসুনবাটা দিন। উগ্র গন্ধ চলে না যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। শুকনো লঙ্কা, হলুদ, জিরেগুঁড়ো, কারিপাতা সব দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার টমেটো দিন। টমেটো গলে এলে আন্দাজমতো নুন দিন। চিংড়ি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। ওপরে গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
চিংড়ি পোলাও
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ৩০০ গ্রাম, গোবিন্দভোগ চাল ৬০০ গ্রাম, গরমমশলা ৫০ গ্রাম, চিনি ও নুন পরিমাণ মতো, তেজপাতা অল্প, ঘি ২০০ গ্রাম।
প্রণালী: গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে রাখুন। মাছের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে রাখুন। ডেকচিতে ঘি দিন ও মাছগুলি ভাজুন। ওই ঘিতেই তেজপাতা, গরমমশলা ও চালটা দিয়ে অল্প নেড়ে জল দিন। যতটা চাল, তার চার ইঞ্চি জল দেবেন এবং ঢাকা দিন। মাঝে মাঝে নাড়বেন যেন ধরে না যায়। চাল সিদ্ধ হলে জল শুকিয়ে গেলে মিষ্টি ও নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।