‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিরোধের বিকল্প নেই।’
নগরের বন্দর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা মিলনায়তনে জঙ্গিবাদ বিরোধী আলেম ওলামা শিক্ষার্থী সমাবেশে একথা বলেন সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মাদরাসা মিলনায়তনে সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সবার মুখে “জয় বাংলা” স্লোগান ও জঙ্গিবাদে না জড়ানোর শপথ নেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী। সুচিন্তা স্টুডেন্টস অ্যান্ড ইয়ুথ উইং সিটি কলেজ শাখার মো. সজিবুল ইসলাম সজিবের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ।
প্রধান বক্তা ছিলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল হক হাক্কানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক মো. আজিজুল মোস্তফা সিরাজি, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক ডা. হোসেন আহমেদ, সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিক।
সমাবেশে প্রফেসর মোহাম্মদ এ আরাফাতের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্যরা।
সভাপতির বক্তব্যে জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের অন্যতম উপায় শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিরোধ। ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে জঙ্গিবাদ নিরসনে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কোনো পৃথক বিষয় নয়। একে অপরের সঙ্গে জড়িত। দেশের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হলে আমাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। জঙ্গিদের ধরন বদলেছে। এখন উচ্চ শিক্ষিতরাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন সুচিন্তা স্টুডেন্টস অ্যান্ড ইয়ুথ উইং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক সৌরভ মুৎসুদ্দী ও কার্যকরী সদস্য রাহবার বিন হোসাইন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরহাদ আব্দুল্লাহ, রমজান আলী, সোহেল, মাসুম, আবু নাসের জুয়েল প্রমুখ।