খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে টার্কি পালন করে সফলতার মুখ দেখেছেন জামাল উদ্দীন। মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার মো. নেছার উদ্দীন মৃধার ছেলে মো. জামাল উদ্দীন মৃধা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জীবিকার তাগিদে পাহাড়ে ছড়াকচু চাষ, আম বাগান, আনারস বাগানসহ মৌসুমি ব্যবসা ছিল তার আয়ের একমাত্র উৎস। চ্যানেল আই’র পরিচালক শাইখ সিরাজ এর একটি প্রতিবেদন দেখে জেনেছিলেন হাঁস–মুরগি পালনের পাশাপাশি টার্কি পালনে ব্যাপক সফলতা পাওয়া যায়। এরপর থেকে জামাল উদ্দীন টার্কির খামার গড়ার উদ্যোগ নেন।
চট্টগ্রাম থেকে দু’টি টার্কি কিনেছিলেন মৃধা। ৭ মাস বয়সী একটি টার্কি টানা ৬০ দিন ডিম দিয়েছে। এরপর এক থেকে দেড় মাস পর আবার টানা দু’মাস ডিম দেয়। ওই ডিম থেকেই মো. জামাল উদ্দীন মৃধা’র সফলতার যাত্রা শুরু।
ক্ষুদ্র খামারি মৃধা জানান, মাত্র ২টি টার্কির ডিমে বর্তমানে তার খামারে তিন শতাধিক টার্কি রয়েছে। এরমধ্যে ডিম দিচ্ছে গড়ে ৫০টি। তিনটি মহিলা জাতের টার্কির সাথে একটি পুরুষ জাতের টার্কির সংমিশ্রণে সব ডিমে বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। একটি সুস্থ টার্কি ৩–৪ বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। মেশিনের সাহায্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়।
এক বছরে ক্ষুদ্র খামারে টার্কি চাষ করে তিন লক্ষ টাকা আয় করেছেন জামাল উদ্দীন। তবে টার্কি সম্পর্কে এখনো পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাব এবং ক্রেতা সংকটে উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। একটি পূর্ণবয়স্ক টার্কির ওজন ৮–১০ কেজি। এর মাংস প্রতি কেজি পাঁচশত টাকা, ডিম (একটি) ১০০–১২০ টাকা, বাচ্চা (১ মাস বয়সী) ৩০০–৩৫০টাকা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষুদ্র খামারিরা এখান থেকে ডিম ও বাচ্চা সংগ্রহ করছেন। টার্কির ডিম ও মাংস বাজারজাতকরণে এখনো পর্যাপ্ত গ্রাহক সৃষ্টি না হওয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জয়নিউজ