প্রখর রোদের মধ্যেও একমনে কাজ করে চলেছেন নগরের ঈদগাঁ মাদাইজ্যাপাড়া মসজিদের কবরস্থানের রাজমিস্ত্রি মাকছুদা বেগম (২৮) । একটুও ফুরসত নেই তার। শাবল দিয়ে বালি তুলে দিচ্ছেন ভ্যানে। অন্য নারী শ্রমিকরা বালিভর্তি ভ্যানগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ৮টায় কাজে যোগ দিতে হয়। দুপুরের খাবারের বিরতি ছাড়া বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এ হাড়ভাঙ্গা খাটুনি।
কাজের এক ফাঁকে কথা হলো মাকছুদা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানালেন, নোয়াখালি বুড়িচরে তার গ্রামের বাড়ি। স্বামী-সন্তান নিয়ে নগরে আছেন অনেক বছর। ছোট্ট ঘিঞ্জি বাসায় তাদের বসবাস। স্বামী রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খান। তাই সংসার চালাতে মাকছুদা বেছে নিয়েছেন এ পেশা। যেদিন কাজে আসেন যেদিন পেট পুরে দু’বেলা ডাল-ভাত জোটে। এতেই তার সুখ। আজ বিশ্ব নারী দিবস এটা জানেন কি না- এমন প্রশ্নে ঘর্মাক্ত মুখে খিলখিল করে হেসে উঠলেন।
পাশেই ঝুমুর নামের আরেক নারী শ্রমিকের কাছে নারী দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নারী দিবস কি আমি জানি না। আমরা গরিব, কাজ করে খাই। আমরা কষ্ট করি ঠিক, কিন্তু মূল্যায়ন করে না কেউই। অনেকে বড় বড় কথা বলে। কিন্তু দুইদিন পর ভুলে যায়।
তবে পুরুষের সাথে সমানতালে কাজ করলেও সমান পারিশ্রমিক জোটে না, এমন অভিযোগ তাদের।
নারী শ্রমিক রহিমা বলেন, আমাদের বেতন কম কেন জানি না। এখানে পুরুষদের বেতন ৪০০ টাকা, নারীদের বেতন ৩০০ টাকা। কাউকে অভিযোগও করতে পারি না। আমরা সমাজে কেন এত অবহেলিত? নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা খুবই দরকার।