এলডিপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন লোহাগাড়ার আলোচিত রাজনীতিক জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল। তবে চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকায় আসেনি তার নাম। এই সিদ্ধান্তে ‘নাখোশ’ বাবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়।
এদিকে লোহাগাড়া উপজেলা এলডিপি’র সভাপতি জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল গত ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভীকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাবুলকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল বলেও জানা যায়। কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন খোরশেদ আলম চৌধুরী।
নৌকা প্রতীক না পেয়ে বাবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এ কারণে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ উপজেলায়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় আ’লীগ নেতা আনোয়ার কামাল বলেন, যিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করবো। কিছু সংখ্যক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলে শুনেছি।
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ করি, সেহেতু নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম গনি সম্রাট দাবি করেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল বেশি জনপ্রিয়। সেজন্য আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করছি।
লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য জহির উদ্দিন বলেন, বাবুল বিগত উপজেলা নির্বাচনে এলডিপি’র প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ভোট করেছেন। এবারও আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করছি।
এ ব্যাপারে নৌকার মনোনীত প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে থেকে কাজ করে বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছি। কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড আমাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। আমি আ’লীগের সব নেতা-কর্মীকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান করছি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী বলেন, আমি ২০০৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগদান করি। যেহেতু নৌকা প্রতীক পাইনি, তাই আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছি। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন।