নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে জুমার নামাজরত মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সারাবিশ্ব। এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশি তারকারাও। কেউ কেউ নিজেদের ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিন বাংলাদেশিও। কয়েকজন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বলেন, যখন একজন খ্রিষ্টান ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট তথা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী’ মসজিদে ঢুকে হামলা চালায় এবং মানুষ হত্যা করে, তখন পশ্চিমা মিডিয়া লিখে ‘মাস শুটিং বা নির্বিচারে গুলি’। আর যখন একজন মুসলিম হামলা চালায় এবং মানুষ হত্যা করে তখন প্রতিবেদন করা হয় ‘টেররিজম বা সন্ত্রাসবাদ’। হে পশ্চিমা মিডিয়ার বন্ধুরা, কখন আমরা দুই ধরনের হামলাকেই ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করব? তোমরা কি কখনো ভেবেছ যে তোমাদের এ পক্ষপাতিত্ব বিশ্বব্যাপী (মুসলমানদের প্রতি) ঘৃণা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট চার্চে আল নূর মসজিদসহ দুইটি মসজিদে হামলায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি।
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, এ কেমন অমানবিকতা! কি ভয়ংকর ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা। এটা ভিডিও গেমকেও হার মানায়! কি থেকে বাঁচল বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম!
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তারকা সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আকতার প্রিয়তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড-এর মতো শান্তিপূর্ণ একটি দেশের বুকে এ ভয়ংকর ঘটনা নতুন। ওরা কিছু বোঝার আগেই এই বীভৎস, দুর্বিষহ ঘটনা ঘটে গেল। আমার হৃদয় থেকে ভিকটিমদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আসলে এ মর্মান্তিক ঘটনার সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা আমাদের কারোর কাছে নেই। আর নিন্দা কাকে জানাব! জঙ্গিরা কি আর নিন্দার কথা পরোয়া করে মানুষ হত্যা করে? তাও কোনো পবিত্র দিনে, পবিত্র স্থানে। গত বছর হয়েছিল আমেরিকার এক চার্চে , আজ মসজিদে, তারপরে হয়তো হবে কোনো এক মন্দিরে। জঙ্গিদের কাছে ধর্ম কি আর জাত কি আর বর্ণ কি? ওরা ব্রেইন ওয়াশড, মস্তিষ্ক বিকৃত প্রাণী। কিছুটা স্বস্তির বিষয় হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম নিরাপদে আছে , তা না হলে হয়তো বিশ্বে যুদ্ধ নেমে যেত। নিরাপদে দেশে টিম ফিরে আসুক এ কামনা করছি।’