নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও ৭ বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন।
এরমধ্যে একজন নারীর বুকে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। আরেকজনের পায়ে গুলি লেগেছে। তার সেই পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান।
তিনি জানান, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন ৭ জনকে ফোনে পাচ্ছেন না। শুক্রবার তারা ঘটনাস্থলেই ছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, হয়তো এ ৭ জন মারা গেছেন।
স্থানীয় এক প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক জানান, আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না, কতজন মারা গেছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। মৃতদেহগুলো ঘটনাস্থলেই রয়েছে। আশা করি শনিবারের মধ্যে জানতে পারব।
তিনি বলেন, শুক্রবার শুনেছিলাম ডা. সামাদের স্ত্রী মারা গেছেন। তবে আসলে বিষয়টি সত্যি নয়। তিনি বেঁচে আছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ডা. সামাদ যে বেঁচে নেই, আনুষ্ঠানিকভাবে এটি তাকে এখনো জানানো হয়নি।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নারী, শিশুসহ ৪৯ জন মুসল্লিকে হত্যা করা হয়। খুন হন ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের ৪১ জন এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদে আটজন মুসল্লি।