অভিবাসন সংক্রান্ত বিতর্কে পদত্যাগ করেছেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী শালো মিশেল। এ বিতর্কে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান অংশীদার জোট ছাড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন।
গত সপ্তাহে মরক্কোর মারাকেশ শহরে স্বাক্ষরিত জাতিসংঘের অভিবাসন চুক্তিতে বেলজিয়াম স্বাক্ষর করার প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ে জাতীয়তাবাদী নিউ ফ্লেমিশ অ্যালায়েন্স (এনভিএ) । এ চুক্তিতে যোগ দেওয়ায় বেলজিয়ামে অভিবাসন বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এনভিএ।
বিবিসি জানিয়েছে, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মিশেল। এখন তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কি-না রাজা সে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে তাঁর সংখ্যালঘু সরকার প্রয়োজনীয় সমর্থন লাভে ব্যর্থ হওয়ায় মিশেল পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মিশেলের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
২০১৪ সালের অক্টোবরে ক্ষমতায় এসেছিলেন ৪২ বছর বয়সী মিশেল। ক্ষমতা গ্রহণকালে তার বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। এর মাধ্যমে ১৮৪১ সালের পর থেকে তিনি বেলজিয়ামের সবচেয়ে তরুণ প্রধানমন্ত্রীতে পরিণত হন।
জুলাইয়ে জাতিসংঘের ১৯৬ সদস্যরাষ্ট্র গ্লোবাল কম্প্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। গত সপ্তাহে মারাকেশে ১৬৪টি দেশ চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, ইতালি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে।