মহাজোট প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চললেও, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থীর প্রচারণা নেই বললেই চলে।
মহাজোটের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন, ডাবুয়া ইউনিয়ন, চিকদাইর ইউনিয়ন, রাউজান পৌরসভা, বাগোয়ান ইউনিয়ন, পাহাড়তলী ইউনিয়ন, উরকির চর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করছেন। তাঁর পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী আলাদাভাবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিদিন নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন সড়কে মহাজোট প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার শোভা পাচ্ছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মহাজোটের প্রার্থীর কার্যালয়ও সরগরম রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকদারের ধানের শীষ প্রতিকের প্রচারণা তেমন দেখা যাচ্ছে না। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর জসিম উদ্দিন সিকদার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে পৌরসদর ও রাউজান ইউনিয়নের আংশিক এলাকায় ভোটারদের কাছে প্রচারপত্র বিলি করলেও, এরপর থেকে ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে আর কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের কোনো পোস্টারও দেখা যাচ্ছে না ।
এই সংসদীয় আসনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আলী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। কিন্তু এলাকায় হাতপাখার পক্ষেও তেমন প্রচারণা নেই। এলাকায় হাতপাখা প্রতীকের কোনো পোস্টারও দেখা যায়নি।
রাউজান আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে মহাজোটের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
বিএনপি প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে আমি এলাকার মানুষের কাছে যাচ্ছি । পোস্টার টাঙ্গানো না হলেও ভোটারদের কাছে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে ।
রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, রাউজানে এখনো কোনো প্রার্থী অপর প্রার্থীর বিরুদ্বে অভিযোগ করেননি।
১৮ ডিসেম্বর থেকে এ নির্বাচনি এলাকায় ৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে । নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক ২৪ ডিসেম্বর থেকে সেনাসদস্য মোতায়েন হবে এলাকায় । এছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
রাউজানে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা । এখানে ৮৪টি ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৭০ হাজার ৭শ’ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
জয়নিউজ/শফি/আরসি