একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বন্ধ হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ভোটের। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এক প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনে থাকা সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এবং ৩০০ আসনের প্রত্যেকটিতে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এর ফলে দেশের সব মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক-আপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পোসহ স্থানীয় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নৌযান চলাচলের ওপর।
ভোটকে সামনে রেখে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত সারাদেশে মোটরসাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইসির স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে এটা শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির কাজে নিয়োজিত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
এবার সারাদেশে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার রয়েছেন। সে হিসাবে এবার ১ কোটি ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৬ জন নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন।
নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮ শ’র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী।