আগে প্রেমের, পরে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রত্যাখ্যান করায় অপহরণ করে স্থানীয় একটি ইটভাটায় নিয়ে ষোড়শী কলি আক্তারকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ধর্ষিতা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় তাকে মৃত ভেবে ওই ইটভাটায় পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাংকিতে ফেলে চলে যায় ধর্ষক মিঠু।
হাটহাজারীর চাঞ্চল্যকর কলি আক্তার হত্যার ঘটনায় নোয়াপাড়া সন্দ্বীপ কলোনীর মো. ইউনুসের ছেলে এক সন্তানের জনক মো. নজরুল ইসলাম প্রকাশ মিঠুর (২৮) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এসব লোমহর্ষক তথ্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা আহমেদ-এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মিঠু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামীম শেখ। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাতে নিহতের বাবা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খিল্লা পাড়ার ছোট্টু মিয়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নজরুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার সূত্র ধরে ওই রাতেই হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ কলিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নজরুলকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে। আটকের পর নজরুল পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলি হত্যার সাথে সে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, কিশোরী কলি হত্যা মামলায় নজরুলকে আটকের পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে।
জয়নিউজ/জুলফিকার