ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টা থেকে উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে ফণীর প্রভাবে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। নগরের সড়কগুলোতে যাত্রী ও যানবাহনের সংখা খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
সরেজমিন চট্টগ্রামের বহাদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, ২ নম্বর গেইট, আগ্রাবাদ, প্রবর্তক, পাঁচলাইশ, জামালখান, চেরাগী পাহাড় মোড়, ওয়াসা, লালখান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদেরই সড়কে দেখা গেছে। ফণীর পূর্বাভাস পেয়ে শনিবার অধিকাংশ স্কুল রয়েছে বন্ধ।
এদিকে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে অনেক কম। যাদের অফিস খোলা তাদের অনেকে দুই-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে রিকশায় চলাচল করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ফণীর প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল পেরিয়ে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে। মেঘে ঢেকে আছে আকাশ।
একইসঙ্গে পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া বিভাগ।