আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপ। দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী হল ও শাহ আমানত হলে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ একে অপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতেও দেখা যায় তাদের।
সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মোঃ আখলাছুর রহমানের একটি মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হলের পাশের একটি দোকানে সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সিএফসি নেতা সোয়েবুর রহমান কনক বিজয় গ্রুপের কর্মী কাকনকে মারধর করেন। পরবর্তীতে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে সেটি মীমাংসা হলেও রাত সাড়ে দশটার দিকে কনক ও আখলাছ সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে আসলে বিজয়ের কর্মীরা তাদের মারধর করে আখলাছের মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সিএফসির নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হল ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে।
রাত ১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ ঘটনায় কোন হতাহত বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ জয়নিউজকে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষকে শান্ত করতে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।