বান্দরবানের আলীকদম ও লামায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা-মারধরের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় আলীকদম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিটনসহ ১৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মীর ওপর হামলা-মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মী মোহাম্মদ ইউনুচ বাদী হয়ে আলীকদম থানায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় ৩০ জন আসামি বান্দরবান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ১৭ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ১৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরদিকে লামা উপজেলার আজিজনগর এবং ফাইতং ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মাইকিং এর গাড়ি ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগের ৩ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ফাইতং ইউনিয়নের ঘটনায় ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
লামার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আপ্পেলা রাজু নাহা জয়নিউজকে বলেন, ফাইতং ইউনিয়নের ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে। আজিজনগর ইউনিয়নের ঘটনায়ও আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে থানার বাইরে থাকায় মামলার বাদী কারা এবং আসামির সংখ্যাটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। ঐ ঘটনায় ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ রেজা বলেন, মারধর এবং হামলার মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের আগমুহুর্তে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।