বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন দলে পরিণত হয়েছে। তাদের রাজনীতি খালেদার হাঁটুতে এসে আটকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের গণসংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, ভারতসহ অন্যান্য দেশ-সংগঠন যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রোল মডেল মনে করে তখন শুধু বিএনপি-জামায়াত আর ঐক্যফ্রন্ট তাঁর কোনো অবদান দেখেন না। কারণ তাদের রাজনীতি খালেদা হাঁটু ব্যথায় আর তারেকের মামলায় আটকে আছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও খালেদা গাধার মতো জল ঘোলা করে খেতে পছন্দ করেন। কারণ বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। অথচ এক মাস আগে থেকেই এখানে খালেদা জিয়ার জন্য দুটি কেবিন বরাদ্দ ছিল। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাবেন না। যেখানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের এই হাসপাতালেই চিকিৎসা হয়েছে। বিদেশি চিকিৎসকদল এসে এই হাসপাতালের চিকিৎসার প্রশংসা করে গেছেন। ভারতের বিশ্ববিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট এই হাসপাতালের চিকিৎসার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আর সেই হাসপাতাল তাদের পছন্দ নয়।
মন্ত্রী বলেন, শেষ পর্যন্ত অনেক জল ঘোলা করে খালেদা জিয়া আজ বঙ্গবন্ধু হাসপাতালেই গেছেন। আর এখন মির্জা ফখরুল কথা ঘুরিয়ে বলছেন, সেখানে যেন ‘ভালো’ চিকিৎসা হয়।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভপতি মোসলেহ উদ্দিন, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল আলম।