তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মুসলিম জমায়েত আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের বয়ানের মধ্যদিয়ে চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। এটি বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের নোয়াখলীর মাওলানা নূরুর রহমান।
শনিবার মাওলানা জোবায়েরপন্থীদের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাত শেষে জোবায়েরপন্থীরা ময়দান ছেড়ে চলে যাবে।
রোববার থেকে মাওলানা সা’দ পন্থীদের পরিচালনায় ইজতেমা ফের শুরু হবে। সোমবার সা’দপন্থীদের আখেরি মোনাজাতের মধদিয়ে শেষ হবে চার দিনের বিশ্ব ইজতেমা।
এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে মুসল্লিদের কাফেলা আসতে থাকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দিকে। মুসল্লিদের এ ঢল শুক্রবারও অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্য রয়েছে। রয়েছে বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, নৌ-টহল ও চেকপোস্ট। স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ও র্যাব কন্ট্রোলরুম এবং ওয়াচ টাওয়ার। কন্ট্রোলরুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বর্তমান স্থলে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গতবছরের ডিসেম্বরে ইজতেমার দু’পক্ষের মুসল্লিদের মতবিরোধের কারণে এ বছর দুটি পক্ষ পৃথকভাবে দু’দিন করে চার দিন ইজতেমা পরিচালনা করছে।
জয়নিউজ